রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৪

ওয়েবপেজকে পিডিএফ হিসেবে সেভ করুন এ্যান্ড্রয়েড মোবাইল দিয়ে খুব সহজেই..............

আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরব খুবই সাধারণ অথচ খুবই জরুরী একটা বিষয়। আমরা অনেকেই ইন্টারনেটে ব্লগ অথবা বিভিন্ন টিউটোরিয়াল পড়ি। অনেক সময় এসব ব্লগ অথবা টিউটোরিয়াল সংরক্ষণ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে আমি আজ আপনাদের দেখাবো কিভাবে অতি সহজে প্রয়োজনীয় ব্লগ অথবা টিউটোরিয়াল সেভ করা যায় আপনার এ্যান্ড্রয়েড মোবাইল দিয়েই।
প্রথমে একটি Mozilla Firefox ডাউনলোড করে আপনার মোবাইলে ইন্সটল করে নিন।
  Mozilla Firefox প্লে স্টোরেই পাবেন। 

 Mozilla Firefox থেকে কাংখিত ব্লগ অথবা টিউটোরিয়ালটি ব্রাউজ করুন। ওয়েবপেজটি ওপেন হলে অপশনে ক্লিক করুন।
অপশন মেনু থেকে টুলস এ ক্লিক করুন।


এইবার এখান থেকে Save as PDF অপশনে ক্লিক করুন। এবার ওয়েবপেজটি পিডিএফ আকারে ডাউনলোড হবে। ডাউনলোড কম্প্লিট হলে ওপেন করুন। ব্যাস হয়ে গেল কাজ।
এই টিউটোরিয়ালটির ভিডিও দেখুন।

মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৪

রুট করুন আপনার অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল খুব সহজেই পিসি ছাড়াই ।


রুট কি এবং কেন সেটা আমরা প্রায় সবাই জানি। আর যারা জানেন না তারা এখানে ক্লিক করুন। 

এবার কাজের কথায় আসি। প্রথমে Kingroot  অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিন। এরপর ইনস্টল করে ওপেন করুন।চিত্রের ন্যায় একটি উইন্ডো দেখতে পাবেন। সেখানে বড় গোল অপশনে টাচ করবেন।
সাথে সাথেই অ্যানালাইজিং শুরু হবে এবং ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে আপনার অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলটি রুট হয়ে যাবে এবং চিত্রের ন্যায় দেখাবে।
 প্রয়োজনে Root Checker Pro.apk দিয়েও চেক করে দেখতে পারেন।

বিঃদ্রঃ আমি আমার Symphony W68 এই পদ্ধতিতে রুট করেছি কোনো সমস্যা ছাড়াই। কিন্তু আপনাদের যদি কোনো সমস্যা হয়ে থাকে, তবে সেই জন্য আমি দায়ী নই ধন্যবাদ।

Find Me on FB 

অ্যান্ড্রয়েডের রুট কি এবং কেন?


আমরা যারা অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ইউজ করি তাদের কাছে কাস্টম রম একটি অতি পরিচিত শব্দ। সময়ের সাথে সাথে স্টক রমের পরিবর্তে কাস্টম রমের জনপ্রিয়তা অনেক বেড়ে গেছে। এর কারণ একটাই। আর সেই কারণ হল কাস্টম রমের আকর্ষণীয় সব ফিচার এবং কাস্টমাইজেশন অপশন, যার মজা স্টক রমে নেয়া সম্ভব নয়। তাই অ্যান্ড্রয়েদ ডিভাইস কেনার পর আমরা ডিভাইসের জন্য কাস্টম রমের কথা ভাবি । কিন্তু অ্যাডভান্সড ইউজার ছাড়া কাস্টম রমের সাথে জড়িত অনেক কিছু সম্পর্কে আমাদের অনেকের তেমন ধারণা নেই। তাই কাস্টম রম সম্পর্কিত সকল তথ্য নিয়ে আমার আজকের পোস্ট…
Root কি?
রুট বা রুটিং মানে একটি এন্ড্রয়েড ডিভাইসের রুট-লেভেল অ্যাক্সেস পাওয়া। রুট/Root শব্দটা এসেছে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে। লিনাক্স ব্যবহারকারীদের মধ্যে যাদের রুট প্রিভিলেজ বা সুপারইউজার পারমিশন আছে তাদেরকে রুট ইউজার বলা হয়। এন্ড্রয়েড তৈরি হয়েছে লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম থেকে। এন্ড্রয়েড ডিভাইসে রুট পারমিশন মানে সিস্টেম ফাইল এডিট করার পারমিশন আদায় করা। এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা প্রায় সবাই বোধহয় একবার হলেও রুট(ROOT) শব্দটার নাম শুনেছেন। অনেকেই আছেন রুট করে মহা আনন্দে এন্ড্রয়েড ফোনের মজা নিচ্ছেন অনেকে হয়ত জানেনই না রুট কি! রুট বা রুটিং মানে একটি এন্ড্রয়েড ডিভাইসের রুট-লেভেল অ্যাক্সেস পাওয়া। লিনাক্স ইউজাররা এটা ভাল বুঝবেন – আমি উইন্ডোজ ইউজার, আমার মত আম জনতার কাছে রুট হল যে আমার ডিভাইসটির উপর আমার সর্ম্পুণ কর্তৃত্ব স্থাপন করা। কোম্পানী এন্ড্রয়েডের সর্ম্পূণ কর্তৃত্ব ইউজারকে দেয় না। রুট/Root শব্দটা এসেছে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে। লিনাক্স ব্যবহারকারীদের মধ্যে যাদের রুট প্রিভিলেজ বা সুপারইউজার পারমিশন আছে তাদেরকে রুট ইউজার বলা হয়। এন্ড্রয়েড তৈরি হয়েছে লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম থেকে। এন্ড্রয়েড ডিভাইসে রুট পারমিশন মানে সিস্টেম ফাইল এডিট করার পারমিশন আদায় করা।
রুট সম্পর্কিত কিছু সংঙ্গা:
রম/ROM মানে Read Only Memory হলেও এক্ষেত্রে রম দ্বারা এন্ড্রয়েডের বিভিন্ন ভাসর্নের অপারেটিং সিস্টেম বুঝায়। ফ্ল্যাশ/Flash করা মানে ডিভাইসটির মধ্যকার অপারেটিং সিস্টেম অপসারণ করে আপনার পছন্দের সিস্টেম বা রম ইন্সটল করা। স্টক রম বলতে উক্ত ডিভাইসের বিল্ট-ইন অপারেটিং সিস্টেমকে বুঝায়। কাস্টম রম বলতে ওপেনর্সোস ইউজারদের তৈরীকৃত নানা সুবিধাযুক্ত কাস্টমাইজড রম বুঝায়। ব্রিক/Brick মানে আপনার ডিভাইসটি ব্যাবহারের অযোগ্য হয়ে যাওয়া! আনব্রিক/Unbrick মানে ব্রিক হওয়া ফোনকে ঠিক করা/ফাংশনাল করা।
কেন রুট করা থাকে না? :
কথা হচ্ছে, নিজের ফোনের কেন এডমিনিস্ট্রেটর পারমিশন “আদায়” করে নিতে হবে? কেন ইচ্ছা করলেই একটা ফাইল ডিলিট করতে পারব না? ফোন ম্যানুফ্যাকচাররা আপনাকে অনেক সুবিধা দিলেও কিছু সুবিধা/পারমিশন তারা দেয় না। এটা করা হয় ভালোর জন্যই। কারণ আগে থেকে আপনাকে ফোনের মধ্যে যা ইচ্ছা তাই করার অনুমতি দেওয়া থাকলে দেখা যাবে আপনি গুরুত্বপূর্ণ একটা ফাইল গায়েব করে দেবেন, অথচ আপনি শুধু চেয়েছিলেন আপনার ফোন মেমোরি বাড়াতে। এছাড়া আপনি কাস্টমাইজ করতে গিয়ে বা রম ইন্সটল করতে গিয়ে ভুল করলে ফোন ব্রিক করে ফেলতে পারেন। আর ভাইরাস/ম্যালওয়ারের কিছু ঝামেলা হতে পারে। কারণ রুট পারমিশন পেলে আপনি যা ইচ্ছা তাই ইন্সটল করতে পারেন, যার কারণে ম্যালওয়ার ফোনে ঢুকে পড়তে পারে। এন্ড্রয়েড কেন রুট করবেন?
কেন ঝামেলা করে আপনার এন্ড্রয়েডটিকে রুট করবেন?
রুট করলে আপনি যা যা করতে পারবেন তা হল – ᗌ১. রুটিং আপনাকে আপনার এন্ড্রয়েডে ‘সুপার ইউজার’ অধীকার দেয়। ᗌ২. ফোনটিতে কি থাকবে আর কি থাকবে না তা নিশ্চিত করতে পারবেন। ডিফল্ট হিষেবে থাকা অনেক সফ্টওয়ার আপনার পছন্দ নাও হতে পারে। রুট আপনাকে এগুলো Uninstall বা Replace করার ক্ষমতা দেয়। ᗌ৩. এন্ড্রয়েড মার্কেটে ও অন্য সফ্টওয়ার সাইটে পাওয়া যায় অসাধারণ সব এন্ড্রয়েড সিস্টেম সফ্টওয়ার, যা দিয়ে নানাভাবে ফোনের পারফর্মেন্স বাড়াতে পারবেন। কিন্তু রুট ছাড়া এসব হয় না। ᗌ৪. অনেক ইনবিল্ট ফিচার যা একটি ডিভাইসে সাপোর্ট করে অথচ অন্য ডিভাইসে হয় না, কিন্তু রুটিঙের মাধ্যমে এগুলো ঠিক করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, লাউভ ওয়ালপেপার Samsung Galaxy Spica তে রুট না করলে চলে না। ᗌ৫. আপনার ডিভাইসটির WifI বা Bluetooth সংযোগের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ শেয়ার এবং ওয়াইফাই দিয়ে উচ্চগতিতে ডাটা ট্রান্সফার করতে এনড্রয়েডে ওয়াইফাই/ব্লুটুথ টেথারিং করতে হয়, যার জন্য রুট বাধ্যতামূলক। ᗌ৬. বিল্ট-ইন না থাকলে ফোনে বাংলা ফন্ট ইন্সটল করতে রুট লাগবে। ᗌ৭. এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এটাও হয়ত শুনে থাকবেন যে অনেকে কাস্টম রম(Custom ROM) ইন্সটল করে। অনেকে হয়ত কাস্টম রম ইন্সটল করা ফোন দেখে মনে মনে ভেবেছেন আপনিও করবেন। তাহলে আপনাকে রুট করতেই হবে। কাস্টম রম ইন্সটলের প্রধান শর্ত আপনাকে রুট করতে করতে হবে। ROM হচ্ছে Read Only Memory যা আপনার ডিভাইসটিকে চালায়। নেটে অনেক কাস্টম রম পাবেন যা আপনার ফোনকে শুধু দৃষ্টিনন্দন করে তুলবে তাই নয় ফোনের পারফরম্যান্সও বাড়িয়ে তুলবে। কাস্টম রম ডেভেলপারদের মধ্যে CyanogenMod, Team Rouge, Team EOS, ParanoidAndroid, MIUI ইত্যাদির নাম বেশি শোনা যায়। আপনি ইচ্ছা করলে রম ম্যানেজার দিয়ে আপনার ফোনের সাথে কম্প্যাটিবল রম ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
রুটিং এ রিস্ক বা অসুবিধা কি কি?
রুটিং করতে নানাবিধ ঝামেলা পোহাতে হয়। আপনি যদি না জানেন আপনি কি করছেন তাহলে রুট না করাই ভালো। না বুঝে যদি রুট করতে চান তাহলে যে বিপদ গুলো হতে পারেঃ ১. যদি ভুল রম ইন্সটল করেন যেটা আপনার ফোনের সাথে কম্প্যাটিবল না বা রুট প্রসেসের কোন ধাপ অসাবধানতাবশত ভুল করে ফেললে বা বাংলাদেশে যেটা হতে পারে- মাঝখান দিয়ে কারেন্ট চলে গেলে (যার কারণে আমি আমার Symphony Xplorer W68 বহুত ভয়ে ভয়ে রুট করেছি) আপনার ডিভাইসটি ব্রিক হয়ে যেতে পারে। ২. ওয়ারেন্টি থাকাকালীন সময়ে রুট করলে আপনার ডিভাইসের ওয়ারেন্টি ভয়েড বা নষ্ট হবে। তবে এখন কিছু কিছু ফোনে ওয়ারেন্টি ফিরিয়ে আনার পদ্ধতি পাওয়া যায়। ৩. এছাড়া ভাইরাসের কিছু ভয় আছে। সেটার রোধ করতে এন্ড্রয়েডের জন্য পাওয়া যায় এমন নানা এন্টিভাইরাস ব্যাবহার করতে পারেন। আশা করি Root সম্পর্কে একটা ধারনা দিতে পেরেছি।